মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ, নরসিংদী: নরসিংদীতে সাহিদ হাসান পাপ্পু নামে এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে সাদ্দাম হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে দুদফা হামলায় নারী-পুরুষসহ ৮ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ও গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা একটি মাইক্রোসহ সাতটি গাড়ি ও একটি বসতঘর ভাঙচুর করে। আহতরা হলেন, সনিয়া (২০), সেলিনা আক্তার (২৮), সুরিয়া বেগম (৩০), রেহেনা বেগম (২৫), ফকির আলী (৫০), নাদিম হোসেন (২৩), আলমাছ মিয়া (৩৫) ও নাদিম। তাদের নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলাকারী পাপ্পু নিজেকে নরসিংদী সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক বলে দাবি করেন। অভিযোগ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে খালপাড়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি দখল করতে আসেন একই ইউনিয়নের সাহিদ হাসান পাপ্পুর নেতৃত্বে ১৫ জনের একটি দল। তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ওই বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সাদ্দামকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও বোনদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনায় রাতেই পাপ্পুসহ ৮ জনকে আসামি করে মাধবদী থানায় মামলা দায়ে করেন সাদ্দাম হোসেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে আবারও হামলা চালান পাপ্পু। এ হামলায় নাদিম নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়। তাকেও নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভতি করা হয়।
সাদ্দাম অভিযোগ করেন, পাপ্পুদের কাছে বাড়ি বিক্রি না করায় তারা এ হামলা চালিয়েছে। তবে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় পাপ্পুর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এদিকে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মেহেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হাসান বলেন, সাহিদ হাসান পাপ্পু একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার সন্ত্রাসী কর্মকা-ে মেহেরপাড়াবাসী অতিষ্ঠ। সাদ্দামের বাড়িতে অন্যায়ভাবে হামলা হয়েছে। আমি সাদ্দামের পরিবারের পাশে আছি। মেহেরপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবেদ খান সরকার বলেন, পাপ্পু সদর উপজেলার অনুমোদনহীন কমিটির দপ্তর সম্পাদক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয়। তবে সে এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।